বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে সুনামগঞ্জের শাল্লায় হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে দুষ্কৃতদের বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সুনামগঞ্জে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশন করতে হবে। এই তদন্ত কমিশনে একজন বিচারপতি থাকবেন, একজন সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ থাকবেন, তৃতীয়জন হচ্ছেন আমাদের সাবেক সেনা অধ্যক্ষ এম এ করিম। এই তিন সদস্যের কমিটিকে সাত দিন সময় দেওয়া হোক, তদন্তের পর তারা যা সুপারিশ করবেন, তা পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করতে হবে। যেন ভবিষ্যতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আর কোনো আঘাত না আসে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলায় যেসব মসজিদের মাইক ব্যবহার হবে, সেই সব মসজিদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে হবে। কারণ মসজিদ অন্যায় আচরণের জন্য না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানুষের মঙ্গল আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই এসব কাজে যে সব মসজিদের মাইক ব্যবহার হবে সেই মসজিদের সব অনুদান এবং সেই মসজিদই বন্ধ করতে আমি কঠিনভাবে সুপারিশ করছি।

‘ধর্মের নামে কোনো অধর্ম চলতে পারে না। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেও তো আমাদের খোদাই তৈরি করেছেন। আমার ভাইকে মারার অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি। তাই এ বিষয়ে পরিষ্কারভাবে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অনতিবিলম্বে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে বাড়ি করে দিতে হবে। ’

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমি তৃতীয় আরেকটি প্রস্তাব উল্লেখ করতে চাই, সুনামগঞ্জের শাল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে তা প্রধানমন্ত্রীর জন্য অত্যন্ত লজ্জার। উনি অন্য কাজে এত বেশি ব্যস্ত যে এসব ঘটনা চোখে পড়ে না। তাই আমাদের একটি সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় করতে হবে এবং সেই সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব মুজিবকন্যা শেখ রেহানাকে দিতে হবে। তাহলে সেটা আওয়ামী লীগের জন্য ভবিষ্যতে সুবিধা হবে। শেখ রেহানার বয়সও কম, তাই তিনি সারা বাংলাদেশে দৌড়ে কাজ করতে পারবেন।

সংবাদ সম্মেলনে সুনামগঞ্জের নোয়াগাঁও পরিদর্শনের প্রত্যক্ষ বিবরণ তুলে ধরেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।