গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলায় যেসব মসজিদের মাইক ব্যবহার হবে, সেই সব মসজিদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে হবে। কারণ মসজিদ অন্যায় আচরণের জন্য না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানুষের মঙ্গল আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই এসব কাজে যে সব মসজিদের মাইক ব্যবহার হবে সেই মসজিদের সব অনুদান এবং সেই মসজিদই বন্ধ করতে আমি কঠিনভাবে সুপারিশ করছি।
‘ধর্মের নামে কোনো অধর্ম চলতে পারে না। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেও তো আমাদের খোদাই তৈরি করেছেন। আমার ভাইকে মারার অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি। তাই এ বিষয়ে পরিষ্কারভাবে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অনতিবিলম্বে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে বাড়ি করে দিতে হবে। ’
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমি তৃতীয় আরেকটি প্রস্তাব উল্লেখ করতে চাই, সুনামগঞ্জের শাল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে তা প্রধানমন্ত্রীর জন্য অত্যন্ত লজ্জার। উনি অন্য কাজে এত বেশি ব্যস্ত যে এসব ঘটনা চোখে পড়ে না। তাই আমাদের একটি সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় করতে হবে এবং সেই সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব মুজিবকন্যা শেখ রেহানাকে দিতে হবে। তাহলে সেটা আওয়ামী লীগের জন্য ভবিষ্যতে সুবিধা হবে। শেখ রেহানার বয়সও কম, তাই তিনি সারা বাংলাদেশে দৌড়ে কাজ করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে সুনামগঞ্জের নোয়াগাঁও পরিদর্শনের প্রত্যক্ষ বিবরণ তুলে ধরেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।